Tag Archives: Gitabitaan

Two of my favorite songs

আমি কান পেতে রই         ও আমার আপন হৃদয়গহন-দ্বারে বারে বারে
কোন গোপনবাসীর কান্নাহাসির গোপন কথা শুনিবারে — বারে বারে ।।
ভ্রমর সেথা হয় বিবাগি নিভৃত নীল পদ্ম লাগি রে,
কোন রাতের পাখি গায় একাকী সঙ্গীবিহীন অন্ধকারে বারে বারে ।।
কে সে মোর কেই বা জানে, কিছু তার দেখি আভা ।
কিছু পাই অনুমানে, কিছু তার বুঝি না বা ।
মাঝে মাঝে তার বারতা আমার ভাষায় পায় কি কথা রে,
ও সে আমায় জানি পাঠায় বাণী গানের তানে লুকিয়ে তারে বারে বারে ।।

and…

কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি ।
আজ হৃদয়ের ছায়াতে আলোতে বাঁশরি উঠেছে বাজি ।।
ভালোবেসেছিনু এই ধরণীরে সেই স্মৃতি মনে আসে ফিরে ফিরে,
কত বসন্তে দখিনসমীরে ভরেছে আমারি সাজি ।।
নয়নের জল গভীরে গহনে আছে হৃদয়ের স্তরে,
বেদনার রসে গোপনে গোপনে সাধনা সফল করে ।
মাঝে মাঝে বটে ছিঁড়েছিল তার, তাই নিয়ে কেবা করে হাহাকার —
সুর তবু লেগেছিল বারে-বার মনে পড়ে তাই আজি ।।

I realized that I had nearly worn down the LP during my childhood listening to the above two songs along with this song. In fact, my favoritism to Debabrata “George” Biswas’s songs came immediately after this phase. These days, every trip to Kolkata is a hunt for the CD versions of my favorite LPs. Sadly, not all of them are available. Which is a shame really. Not that the current crop of singers aren’t good. Just that one tends to hang on to those singers one grew up with.

তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী,
আমি অবাক্ হয়ে শুনি কেবল শুনি ।।
সুরের আলো ভুবন ফেলে ছেয়ে,
সুরের হাওয়া চলে গগন বেয়ে,
পাষাণ টুটে ব্যাকুল বেগে ধেয়ে
বহিয়া যায় সুরের সুরধুনী ।।
মনে করি অমনি সুরে গাই,
কন্ঠে আমার সুর খুঁজে না পাই ।
কইতে কী চাই, কইতে কথা বাধে —
হার মেনে যে পরান আমার কাঁদে,
আমায় তুমি ফেলেছ কোন্ ফাঁদে
চৌদিকে মোর সুরের জাল বুনি

মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ ।
তারি সঙ্গে কী মৃদঙ্গে সদা বাজে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ ।।
হাসি কান্না হীরাপান্না দোলে ভালে,
কাঁপে ছন্দে ভালো মন্দ তালে তালে ।
নাচে জন্ম, নাচে মৃত্যু পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ ।
কী আনন্দ, কী আনন্দ, কী আনন্দ,
দিবারাত্রি নাচে মুক্তি, নাচে বন্ধ —
সে তরঙ্গে ছুটি রঙ্গে পাছে পাছে
তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ, তাতা থৈথৈ ।।

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে ।
এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে ।।
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার এই দেবালয়ের প্রদীপ করো —
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে ।।
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারা রাত ফোটাক তারা নব নব ।
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো —
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে ।।

এ মণিহার আমায় নাহি সাজে —
এরে পরতে গেলে লাগে, এরে ছিঁড়তে গেলে বাজে ।।
কণ্ঠ যে রোধ করে, সুর তো নাহি সরে
ওই দিকে যে মন পড়ে রয়, মন লাগে না কাজে ।।
তাই তো বসে আছি,
এ হার তোমায় পরাই যদি তবেই আমি বাঁচি ।
ফুলমালার ডোরে বরিয়া লও মোরে —
তোমার কাছে দেখাই নে মুখ মণিমালার লাজে ।।

বসে আছি হে কবে শুনিব তোমার বাণী ।
কবে বাহির হইব জগতে মম জীবন ধন্য মানি ।।
কবে প্রাণ জাগিবে, তব প্রেম গাহিবে,
দ্বারে দ্বারে ফিরি সবার হৃদয় চাহিবে,
নরনারীমন করিয়া হরণ চরণে দিবে আনি ।।
কেহ শুনে না গান, জাগে না প্রাণ,
বিফলে গীত-অবসান —
তোমার বচন করিব রচন সাধ্য নাহি নাহি ।
তুমি না কহিলে কেমনে কব প্রবল অজেয় বাণী তব,
তুমি যা বলিবে তাই বলিব — আমি কিছুই না জানি ।
তব নামে আমি সবারে ডাকিব, হৃদয়ে লইব টানি ।।

A passing thought

যদি তোমার দেখা না পাই, প্রভু, এবার এ জীবনে
তবে তোমায় আমি পাই নি যেন সে কথা রয় মনে ।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে ।।
এ সংসারের হাটে
আমার যতই দিবস কাটে,
আমার যতই দু হাত ভরে উঠে ধনে
তবু কিছুই আমি পাই নি যেন সে কথা রয় মনে ।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে ।।
যদি আলসভরে
আমি বসি পথের ‘পরে,
যদি ধুলায় শয়ন পাতি সযতনে,
যেন সকল পথই বাকি আছে সে কথা রয় মনে ।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে ।।
যতই উঠে হাসি,
ঘরে যতই বাজে বাঁশি,
ওগো যতই গৃহ সাজাই আয়োজনে,
যেন তোমায় ঘরে হয় নি আনা সে কথা রয় মনে ।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে ।।

Same song, different styles

দুজনে দেখা হল মধুযামিনী রে –
কেন কথা কহিল না, চলিয়া গেল ধীরে ।।
নিকুঞ্জে দখিনাবায় করিছে হায়-হায়,
লতাপাতা দুলে দুলে ডাকিছে ফিরে ফিরে ।।
দুজনের আঁখিবারি গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা প্রাণেতে গেল রয়ে ।।
আর তো হল না দেখা, জগতে দোঁহে একা –
চিরদিন ছাড়াছাড়ি যমুনাতীরে ।।
Same song, but sung by singers with different vocal styles tend to impart a variety of meaning to phrases.  Finally obtained the song above sung by Geeta Ghatak and Kanika Bandyopadhyay. I tend to like the former because of the wide range of expressive vocal variety.

Random recollections

I don’t recall why I looked up Pankaj Mullick, but once I did, I recalled one of my favorite songs. Admittedly not one of his best renditions but there was something about the LP that made it special. Please excuse the formatting.

ভুবনেশ্বর হে ,
মোচন কর’ বন্ধন সব মোচন কর’ হে ।।
প্রভু, মোচন কর’ ভয় ,
সব দৈন্য করহ লয় ,
নিত্য চকিত চঞ্চল চিত কর’ নিঃসংশয় ।
তিমিররাত্রি, অন্ধ যাত্রী ,
সমুখে তব দীপ্ত দীপ তুলিয়া ধর’ হে ।।
ভুবনেশ্বর হে ,
মোচন কর’ জড়বিষাদ মোচন কর’ হে ।
প্রভু, তব প্রসন্ন মুখ
সব দুঃখ করুক সুখ ,
ধূলিপতিত দুর্বল চিত করহ জাগরূক ।
তিমিররাত্রি, অন্ধ যাত্রী ,
সমুখে তব দীপ্ত দীপ তুলিয়া ধর’ হে ।।
ভুবনেশ্বর হে ,
মোচন কর’ স্বার্থপাশ মোচন কর’ হে ।
প্রভু, বিরস বিকল প্রাণ ,
কর’ প্রেমসলিল দান ,
ক্ষতিপীড়িত শঙ্কিত চিত কর’ সম্পদবান ।
তিমিররাত্রি, অন্ধ যাত্রী ,
সমুখে তব দীপ্ত দীপ তুলিয়া ধর’ হে ।।